সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের মামলা আশরাফুল (২২) ও মতিউর (২০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে রুহিয়া থানা পুলিশ। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে রুহিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া আশরাফুল পুরাতন ঠাকুরগাঁও এলাকার মোকলেসুরের ছেলে, অপর আসামি মতিউর চিলারং বাসগাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচজনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন বলে জানান ছাত্রীর ভগ্নিপতি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী হাসপাতালে জানায়, ঘটনার দিন প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে দেখা করতে সবার অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তাকে মোটরসাইকেল যোগে একটি মুরগির খামারের ভেতরে নিয়ে প্রেমিক সুজন ও সুজনের বন্ধু আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনো রকমে সে বাসায় পৌঁছায়। এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় সে।
ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই রাতের খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন।
পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লিচিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালে সদস্য ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ভুক্তভোগী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।